Back Home News Update মশা কি পরিবেশ এবং মানুষের জন্য উপকারী?
BDBoiGhor.com

মশা কি পরিবেশ এবং মানুষের জন্য উপকারী?

মোবাইল দিয়ে ফ্রি তে ইনকাম করুন হাজার হাজার টাকা, বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

বিভিন্ন সভ্যতার যেমন ইতিহাস আছে। তেমনি মশারও ইতিহাস আছে। দীর্ঘ আড়াই হাজার বছর ধরে তারা পৃথিবীর বুকে টিকে আছে। ডাইনোসরের মতো যদি কাল মশারাও বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে কোনও ক্ষতি আছে কি? সত্যিই কি কোনো ক্ষতি নেই! সারা বিশ্বে প্রায় ৩৫০০ ধরনের মশার প্রজাতি রয়েছে। সবাই যে মানুষ দেখলেই কামড়াতে যায়, এমন নয়। সাধারণত এত সংখ্যক মশার প্রজাতির মধ্যে কম-বেশি ১০০ প্রজাতির মশার এমন বদ অভ্যাস আছে। আপনারা জানলে হয়তো অবাক হবেন, মশা মানব জাতির যত বড় দুশমনই হোক না কেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এদের বাস্তবিকই কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এই পৃথিবীতে মশারা প্রায় অনেক বছর ধরে বসবাস করছে। এই দীর্ঘ সময় ধরে এরা খাদ্য-খাদকের মধ্যকার ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে। আর একথা তো সকলেই জানেন যে খাদ্য-খাদকের এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে সমগ্র পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। আর এর প্রভাব যে মানুষের উপর পড়বে না, সে গ্যারান্টি কে দিতে পারবে! স্ত্রী মশাই স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত পান করে থাকে। কিছু মশা রোগজীবাণু সংক্রামক। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাসসহ প্রভৃতি রোগ সংক্রমিত হয়। এই রক্তচোষা প্রাণীটিকে সৃষ্টিকর্তা কি কারণে সৃষ্টি করলেন? ছয় শতাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশা মানুষের রক্ত খায়। আবার তাদের মধ্যেও কিছু প্রজাতি শুধুই রক্ত খায় কিন্তু কোনো পরজীবী বহন করে না। এই প্রজাতির মশা ছাড়া বাকি মশারা আমাদের কোনো ক্ষতি করে না। তারা গাছ ফল প্রভৃতির নেক্টার বা রস খেয়ে বেঁচে থাকে। প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ মশাবাহিত রোগে মারা যায়; যার দরুন মশা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুজ্বর, চিকুনগুনিয়া ও জিকা'র মতো মশাবাহিত রোগ পৃথিবীর প্রায় ১০০টি দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যেকোনো প্রাণীই কোনো না কোনো ভাবে কাজে লাগে। সবারই কোনো না কোনো উপকারি দিকও রয়েছে। কিন্তু মশার উপকারিতা নিয়ে কি আমরা কখনো ভেবেছি? কিছু মাকড়সা, টিকটিকি, গিরগিটি, ব্যাঙ এদের মুখ্য খাদ্য এই মশা। এছাড়া মশার ডিম মাছেরা খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। তাই মাছের খাদ্য চাহিদা মেটাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে মশা। যখন মশা উড়ন্ত অবস্থায় থাকে তখন ড্রাগন-ফ্লাই, ছোট ছোট পাখি ও কীটপতঙ্গ মশাকে খেয়ে জীবনধারণ করে।ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির পতঙ্গ-বিজ্ঞানী লউনিবোস বলেন, ‘মশারা ফুলের মধু খায়, তাই বলা যায় যে...পরিবেশ জন্য.. মশা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে..(ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন..)

165066

Comments

0

স্পনসর