Back Home Islamic Post যে বোন পর্ণগ্রাফি আসক্ত
BDBoiGhor.com

যে বোন পর্ণগ্রাফি আসক্ত

মোবাইল দিয়ে ফ্রি তে ইনকাম করুন হাজার হাজার টাকা, বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

যে আপুর পর্ণগ্রাফি দেখার অভ্যাস আছে একবার পোস্ট টা পড়ে দেখুন 🙂

আপনি জানেন কী! পর্নোগ্রাফি অ্যাডিক্টেডদের প্রায় প্রতি ৩জনে ১জন নারী! অর্থাৎ নারীরাও এই নীল থাবায় ভয়ঙ্কর মাত্রায় আক্রান্ত!

অথচ অনেক ছেলেরা বিষয়টি স্বীকার পূর্বক এর থেকে ফিরে আসার কাউন্সিলিং চাইলেও মেয়েদের মধ্যে এ ব্যাপারটি তেমন দেখা যায় না। না তারা বিষয়টি সহজে স্বীকার করে, আর না তারা এর থেকে ফিরে আসার জন্য উল্লেখযোগ্য প্র‍্যাক্টিস করে। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন ডাটা তো সব ঠিকঠিক প্রকাশ করে দিচ্ছে। .

দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের বিষয় আসলে আমাদের মাইন্ড সবসময় ছেলেদের প্রতি ফোকাসড হয় যে—বিষয়টি ছেলেদের জন্য। মেয়েদেরও যে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাদেরও যে চোখের গুনাহ হতে পারে—এটা আমরা থোরাই কেয়ার করি। যদিও ছেলেদের প্রতি দৃষ্টি দেয়া মেয়েদের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার মতো ততটা সিরিয়াস নয়; কিন্তু বর্তমান যুগ সেটাকে সিরিয়াস পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

. অন্ধ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রা. ও আয়িশা রা. এর ঘটনা আমাদের সামনে আছে। তিনি উক্ত সাহাবীর সামনে গেলে রাসূল সা. আয়িশা রা. কে পর্দার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি তার অন্ধত্বের ব্যাপারটি উল্লেখ করেন যে, সে তো অন্ধ। আমাকে দেখতে পাচ্ছে না। তখন রাসূল সা. প্রত্যুত্তরে বলেন, তিনি অন্ধ, তুমি তো অন্ধ না। অর্থাৎ তুমি তো তাকে দেখতে পাচ্ছো।

কাজেই অপর পুরুষের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার ব্যাপারে মেয়েদের অবশ্যই পর্দা করা উচিত। যা ফিতনাকে প্রশমিত করে। . মেয়েদের এই অনিয়ন্ত্রিত দৃষ্টি ওপেন প্লেসের চেয়ে গোপনে বেশি মাত্রায় বিদ্যমান। আর সেটা ইলেক্ট্রিক ডিভাইসে। পর্নোগ্রাফির ক্ষতিকর দিকগুলো আমরা যা জানি, তার প্রায় সবটাই ছেলেদের সমস্যাগুলো জানি। কিন্তু মেয়েদের ওপর এর ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে আমরা তেমন একটা জানি না। .

খুব ভালো করে শুনুন। পর্নোগ্রাফি আশক্ত মেয়েদের স্বামীরা অধিকাংশই অক্ষম পুরুষে পরিণত হয়। উঁহু, কী বললাম ব্যাপারটা! পর্ন দেখে মেয়েটি, আর অক্ষম হবে তার স্বামী? হাউ ইজ পসিবল! অফকোর্স পসিবল, এবং এটাই হচ্ছে।

. জাস্ট ইমাজিন—পর্নোগ্রাফিতে মেইল এক্টরদের পারফরম্যান্স দেখে দেখে মেয়েটি তার স্বামীর কাছ থেকেও অনুরূপ পারফরম্যান্স এক্সপেক্ট করে। কিন্তু নীল পর্দার সেই এক্টিংগুলো যে কাটিং-এডিটিং এর কারসাজি, মেডিসিন, সার্জারি আর ক্যামেরার ভেল্কিবাজির ফল, যা ন্যাচেরালি একজন পুরুষের পক্ষে এচিভ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এবং ভারতীয় উপমহাদেশের পুরুষের পক্ষে তো আরও সম্ভব নয়; তা মেয়েটির সাব-কনসাস মাইন্ড বুঝতে পারে না।

ওখানে ওরা পারলে আমার স্বামী কেন এভাবে পারে না? এই ওভার এক্সপেক্টেশন থেকে শুরু হয় অতৃপ্তি। আর অক্ষমতার অভিযোগে বিদ্ধ করে স্বামীকে। যার আল্টিমেট রেজাল্ট হিসেবে বেচারা স্বামীর কনফিডেন্ট লেভেল ডাউন হয়ে যৌন অক্ষমতায় পতিত হয়। যাকে সাইকো সেক্সুয়াল ডিসফাংশন বলে। যা মূলত তার অক্ষমতা নয়, তার স্ত্রীর এসব বিহ্যাভিয়ার তাকে অমন অক্ষম বানিয়ে দেয়। অতঃপর দাম্পত্যে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।

. বেচারা স্বামী তখন দিশেহারা হয়ে কলিকাতা হারবাল সহ নানা অসাধু ব্যবসায়ী ও করাপ্টেড চিকিৎসকের কবলে পড়ে এলোপাতাড়ি মেডিসিন ও ব্যবস্থা নিয়ে অবস্থা আরও জটিল করে ফেলে।

এতে সাময়িক উপকার পেলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হয় না। বরং তখন এসব মেডিসিনের ওপর একপ্রকার ডিপেন্ডেন্সি তৈরি হয়। যা পুরুষের ন্যাচারাল পাওয়ার লস করে ফেলে। এবং একপর্যায়ে মেডিসিন ছাড়া সে একদমই অচল হয়ে পড়ে। অতঃপর তা স্থায়ী অক্ষমতায় পতিত হয়।

. ততদিনে স্ত্রীর এই অতৃপ্তির জেরে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। সংসারের প্রতি উদাসীন হয়ে যায়। স্বামীর প্রতি কেয়ারলেস হয়ে যায়। পর্ন আর অন্য পুরুষের প্রতি মাইন্ড কনভার্ট হয়ে যায়। ক্ষেত্র বিশেষ পরকীয়ার অনুপ্রবেশ ঘটে। স্বামীকে সহ্য হয় না। মানসিক নির্যাতনে বেচারা স্বামীকে মৃতপ্রায় করে রাখে। স্বামীর ওপর গলার আওয়াজ চড়া ও মেজাজ কড়া হয়ে যায়। .

আর বিকল্প পথে উত্তেজনা প্রশমনের পথে স্বামী বাধা হয়ে দাঁড়ালে সে তখন পুরুষ বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। এবং নিজের যৌন উন্মাদনা চরিতার্থ করতে পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বাধাকে ডিঙ্গিয়ে গলায় নারীবাদের শুর তোলে। কথিত নারীমুক্তির নামে হয়ে ওঠে চরম পুরুষ বিদ্বেষী ও একজন সক্রিয় নারীবাদী। .

এখানে একথা বলছি না যে, সব নারীবাদীর উত্থান এভাবেই হয়। আমি বলতে চাচ্ছি, এভাবেও অনেক নারীবাদীর উত্থান হয়। অর্থাৎ সামাজিক এই অবক্ষয়গুলো একটা চেইন অফ কমান্ড ফলো করে৷ একটার সাথে আরেকটা রিলেটেড।

বোঝা গেল বিষয়টি? মেয়েদের পর্ন এডিকশন ঠিক কীভাবে তাদের ও গোটা সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? .

মেয়েদের সমকামীতার ব্যাপারটি না হয় আপাতত স্কিপ করলাম। যার ম্যাক্সিমাম আইডিয়া ও প্র‍্যাক্টিস তারা এই পর্নোগ্রাফি থেকেই পেয়ে থাকে। আরও আছে, যা এখানে বলা সম্ভব হচ্ছে না। কেবল যেটুকু না বললেই নয় সেটুকুই বলা।

কাজেই, মেয়েদের দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি খুবই সিরিয়াস কিন্তু অত্যন্ত অবহেলিত একটি টপিক। .

হে বোনেরা! ছেলেদের পাশাপাশি আপনারাও নিজেদের দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। দিনের আলোতেও, গভীর রজনীতেও। রবের আদেশও তাই। নবীর নির্দেশনাও তাই।

ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ!

|| দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ সিরিজ: ০৬ ||

~জাফর বিপি

157666

Comments

0

স্পনসর